এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও আপাতত হল বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ কামালের সঙ্গে প্রভোস্টদের বৈঠক শেষে সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্যার এফ রহমান হলের প্রভোস্ট রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হগুলোকে শান্ত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো হলেই পুলিশ প্রবেশ করছে না। তবে শহীদুল্লাহ হলের পাশে পুলিশকে সতর্ক অবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে। এখনই হল বন্ধের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। এর আগে বিকেলে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে বৈঠকে বসেন বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এই বৈঠক ঢাকা হয়।
এদিকে আজ দুপুর ২টার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে দুপক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সময় সংবাদের প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, শুরুতে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে অংশ নিলেও পরে অন্যান্য হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। বিজয় একাত্তর হলের সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের হটিয়ে ক্যাম্পাসের নিয়ন্ত্রণ নেন।
মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শোডাউন করেন। কোটা আন্দোলনকারীরা যাতে পলাশী বা নীলক্ষেত থেকে আবারও ক্যাম্পাসে আসতে না পারেন, সে জন্য ফুলার রোডে অবস্থান নেন। বিকেল ৫টার পর ঢাবির দোয়েল চত্বর এলাকায় ফের আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের দিকে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহীদুল্লাহ আবাসিক হলের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়া এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে আবাসিক হলের ভেতর থেকেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়। এরমধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। তবে এ সময় পুলিশের কোনো উপস্থিতি ঘটনাস্থলে ছিল না। যদিও প্রথম দফা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর ক্যাম্পাসে পুলিশ সদস্যদের ঢুকতে দেখা গিয়েছিল।